Header Ads Widget

Responsive Advertisement

শবেবরাত এর ফজিলত

শবেবরাত
Sobe Barat Namaj



ইয়া আমার আল্লাহ দিন দিন বাংলাদেশের আলেম ওলামা দের অবস্থা খুবেই কঠিন হচ্ছে, আপনি আমাদের হেদায়াহ দান করুন,
.
.
আমরা এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যা বলার মত না,ধরুন গ্রামের কোন এক চাচা আজকের শবেবরাত এর জন্য গুগল করলো আর একজন হুজুরের লেখা আসলো যার সারমর্ম এমন যে
শবেবরাত এর নামাজ নাই।যে বলবে আছে সে কাফের! কাফের! কাফের! 
চাচা আমার তখন কি করবে..?
ওটা বাদ দিয়ে আর একটা পোস্ট দেখবে যে বলবে আলাদা নামাজ নাই ও মৌলবি কিছুই জানে না। ও একটা টাটকা মোনাফেক! 


এখন কি করবেন আমার সেই চাচা,তো ব্যাপারটা হচ্ছে এমন আপনি লিখেন সবকানে সমস্যা নাই কিন্তু ভালোভাবে বুঝে লিখে রাখেন। সাধারণ মানুষের ইমান নষ্ট হয় এমন কিছু কেন করবেন,সে অধিকার তো নাই আপনার। এখন মনে হচ্ছে সময় খুব সন্যিকঠে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কথা মিলে গেলো..


“শেষ জামানায় ঈমান রক্ষা করা হাতের মধ্যে আগুন রাখার মত কঠিন।”

কিন্তু কেন কঠিন তার মধ্যে একটি বড় কারণ হচ্ছে বিদয়াত ও দুনিয়ার প্রতি মোহ।
শেষ জামানায় ঈমান রক্ষা করা বেশী কঠিন কেন?
বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে শেষ জামানার মানুষ নামমাত্র মুসলমান থাকবে, তারা কোরআন ও ইসলামের কোন বিধি-নিষেধ মান্য করবে না। মসজিদেও আর কোন ভাল উপদেশ দেয়া হবে না। ঐ যুগের ফকিহগণও পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে সে সময়ে দ্বীনকে খুব সহজেই বিক্রয় করা হবে।
শবেবরাত

মসজিদ আল্লাহর ইবাদতের স্থান হলেও শেষ জামানায় মসজিদে মু’মিনদের আনাগোনা থাকবে না, সেখানে উপদেশ দেয়া হবে না। শেষ জামানায় মসজিদকে অনেক সুন্দর করে তৈরি করা হবে কিন্তু তাতে কেউ নামাজ আদায় করবে না।

ইসলাম ও ঈমান অপরিচিত হয়ে যাবে, যেমনটি প্রথমে ছিল।
মসজিদের বাহ্যিক চেহারা ভাল হবে, কিন্তু সেখান থেকে মানুষ হেদায়েত হবে না।
মানুষ তার ধর্ম বিক্রি করবে, সকালে ঈমান নিয়ে বের হবে এবং সন্ধ্যায় কাফের হয়ে বাড়ি ফিরবে।



ইসলামী বিশ্বাসের সঙ্গে, এমনকি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের সাথে প্রকাশ্যে বাধা দেয়া হবে।
কুরআনের সত্য শুনা মানুষের জন্য কঠিন হবে অথচ অকার্যকর কথা শুনা সহজ হবে।
-মানুষ নামাজের সময়ের প্রতি গুরুত্ব দিবে না।

মানুষের মধ্যে বিদয়াত ও কুসংস্কার বৃদ্ধি পাবে।
চারিদিকে এমনভাবে ফিতনা ছড়িয়ে পড়েছে, যেন মনে হয় ঈমান নিয়ে মারা যেতে হলে সুরা কাহাফের সেই গুহাবাসী যুবকদের মত ঈমান বাঁচাতে আমাদেরকেও একই রূপ গুহা খুঁজে বের করে আশ্রয় নিতে হবে। এটা এমন একটা যুগ যেন মনে হয় ঈমান নিয়ে মারা যেতে পারাটাই সবচেয়ে বড় সার্থকতা।
.
চারিদিকে এতো বেশি ফিতনা যে একজন মুসলিমকে ঈমান নিয়ে বেঁচে থাকতে যেন মৃত্যুশয্যার রুগীর মত জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে হয় প্রতিনিয়ত। কেউ কেউ হয়ত নিজের অজান্তেই শিরক করে কাফির হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ভাবছে সে মুসলিম। প্রতি মুহূর্তেই যেন মনে হয় এই বুঝি কাফির হয়ে গেলাম, তাই বারবার কালেমা শাহাদাৎ পড়ে ঈমান আনার সাক্ষ্য নবায়ন করি।
.
.
রাসুল (সাঃ) সেই দুইটা হাদিস বারবার মনে পড়ে, “এমন এক সময় আসবে যখন মুসলমানদের জন্য ঈমান ধরে রাখা, জ্বলন্ত কয়লা হাতের মধ্যে রাখার ন্যায় কঠিন হবে।” (তিরমিযি ২২৬০)
.
রাসূল (সা) আরো বলেন, “অন্ধকার রাতের মত ফিতনা আসার আগেই তোমরা নেক আমলের প্রভি অগ্রসর হও। সে সময় সকালে একজন মুমিন হলে বিকালে কাফির হয়ে যাবে। বিকালে মুমিন হলে সকালে কাফির হয়ে যাবে। দুনিয়ার সামগ্রীর বিনিময়ে সে তার দ্বীন বিক্রি করে বসবে।” (সহীহ মুসলিম ২১৪)
.
.
তাই এই চরমতম ফিতনাময় সময়ে নিজের ঈমান ধরে রাখার জন্য অন্যান্য আমলের পাশাপাশি নিচের দুয়া গুলি আমরা করতে পারি। তার আগে যখনই নিজের ঈমান নিয়ে সন্দেহ জাগবে সাথে সাথে কালিমা শাহাদাৎ পড়ে তা নবায়ন করতে পারি ইনশা আল্লাহ।
.
.
❒ কালিমা শাহাদাৎ-
.
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا اللَّه وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
.
.
অর্থঃ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক ও একক। তাঁর কোন শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল’।
.
কিন্তু ঈমান আনার পরেও যদি জেনে বা না জেনে শিরক করে ফেলেন তখন? সেজন্য এই দুয়াটি নিয়মিত পড়বেন –
.
❒ শিরক থেকে বাঁচার দুয়া –
.
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ
.
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি জ্ঞাতসারে আপনার সাথে শির্ক করা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং অজ্ঞতাসারে (শির্ক) হয়ে গেলে তার জন্য ক্ষমা চাই। (সহীহ, আল জামে ২৩৩)
.
.
মহান আল্লাহ যেন আমাদেরকে তাঁর দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখেন এবং আমাদের মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দান করেন সেজন্য দুয়া –
.
❒ মুসলিম হিসেবে মৃত্যু চাওয়ার দুয়া –
.
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ

.
‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে পরিপূর্ণ ধৈর্য দান করুন এবং মুসলিম হিসাবে আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন।’ [আল কুরআন ৭/১২৬]
.
❒ দ্বীনের উপর দৃঢ় থাকতে চাওয়ার দুয়া –
.
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ
.
.
হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর সুদৃঢ় রাখুন। (সহীহ, তিরমিজী ৩৫২২)

Post a Comment

1 Comments